আবারও ফিফার বর্ষসেরা আর্জেন্টিনার মেসি

প্রকাশিত: ১:১৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২৪

টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার হাতে তুললেন লিওনেল মেসি।

লন্ডনে সোমবার রাতে ‘দা বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস’ অনুষ্ঠানে পুরস্কারটির বিজয়ী হিসেবে মেসির নাম ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না তিনি।  তার বদলে পুরস্কার গ্রহণ করেন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও ফরাসি কিংবদন্তি ফুটবলার থিয়েরি অঁরি।

আর্লিং হলান্ড ও কিলিয়ান এমবাপেকে হারিয়ে ২০২৩ সালের ফিফা বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলারের স্বীকৃতি ‘দ্য বেস্ট ফিফা মেন’স প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ড’ জিতলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি।

১৯ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ২০ আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ছেলেদের ফুটবলে সেরা খেলোয়াড়দের বেছে নিয়েছে ফিফা। সেখান থেকে একজনের হাতে অর্থাৎ মেসির হাতে উঠলো বর্ষসেরার পুরস্কার।

অষ্টমবারের মতো ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি পেলেন ৩৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। গত সেপ্টেম্বরে ফিফার বিশেষজ্ঞ প্যানেল প্রথমে ১২ জনের তালিকা দিয়েছিল। তাদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত তিন জনের তালিকা ডিসেম্বরে প্রকাশ করা হয় ফিফা ওয়েবসাইটে। জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, ফুটবল সাংবাদিক ও সমর্থকদের দেওয়া ভোটে জয়ী হন মেসি।

এবার পুরস্কারটি জয়ের সম্ভাবনায় ম্যানচেস্টার সিটির ট্রেবলজয়ী স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ডকে এগিয়ে রাখা হচ্ছিল। ২০২২-২৩ মৌসুমে সিটির জার্সিতে নরওয়ের তারকার পারফরম্যান্স ছিল রীতিমতো চোখ ধাঁধানো। গত মৌসুমে ট্রেবলজয়ী ম্যানচেস্টার সিটির অন্যতম সদস্য হালান্ড। গতি, শক্তি ও ফিনিশিং সক্ষমতা দিয়ে নাজেহাল করে রাখতেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের। ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শুসহ, প্রিমিয়ার লিগের গোল্ডেন বুট, সেরা খেলোয়াড় ও সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন তিনি। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ড ৩৬ গোল করেন হলান্ড। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেন ক্লাব রেকর্ড ৫২ গোল। সেরার জন্য বিবেচিত সময়ে ৩৩ ম্যাচে তার গোল ছিল ২৮টি।

ফিফার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, পুরস্কারটি জিততে হলান্ডের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে মেসির। ভোটাভুটিতে দু’জনই সমান ৪৮ স্কোরিং পয়েন্ট পেয়েছেন। কিন্তু (নিয়মের ধারা অনুযায়ী) জাতীয় দলের অধিনায়কদের পছন্দের তালিকায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বার প্রথমে থেকে এগিয়ে যান মেসি। এমবাপে ৩৮ স্কোরিং পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে।

বিভিন্ন নামে ১৯৯১ সাল থেকে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার দিয়ে আসছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রন সংস্থাটি। শুরু থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দা ইয়ার’ নামের পুরস্কারটি একবার জেতেন মেসি। সেই থেকে শুরু সেরার মঞ্চে এই মহাতারকার আধিপত্যের।
পরের ৬ বছর ফরাসি ম্যাগাজিন ‘ফ্রান্স ফুটবল’ আর ফিফা মিলে দেয় ফিফা ব্যালন দ’র। এই পুরস্কারটি মেসি জেতেন ২০১০২০১১২০১২ ও ২০১৫ সালে। এরপর বর্তমানের ‘দা বেস্ট’ নাম দেয় ফিফা, যেটি মেসি প্রথম জেতেন ২০১৯ সালে। এরপর টানা দুইবার পুরস্কারটি জিতলেন তিনি।

গত বছর আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে এই পুরস্কার জয় করেছিলেন ‘খুদে জাদুকর’।৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে আর্জেন্টিনা  দলকে বিশ্বকাপ জেতানোয় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি।

এক নজরে ফিফা ‘দ্য বেস্ট’ ২০২৩

ফিফা দ্য বেস্টপুরুষ কোচ: পেপ গার্দিওলা (স্পেন), ফিফা দ্য বেস্টনারী কোচ: সারিনা ভাইগমান (নেদারল্যান্ডস), ফিফা দ্য বেস্টনারী খেলোয়াড়: আইতানা বোনমাতি (স্পেন), ফিফা দ্য বেস্টপুরুষ খেলোয়াড়: লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা), ফিফা দ্য বেস্টনারী গোলকিপার: মেরি আর্পস (ইংল্যান্ড), ফিফা দ্য বেস্টপুরুষ গোলকিপার: এদেরসন (ব্রাজিল), ফিফা পুসকাস অ্যাওয়ার্ড: গিলের্মে মাদরুগা (ব্রাজিল), ফিফা স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড: মার্তা (ব্রাজিল), ফিফা ফেয়ারপ্লে অ্যাওয়ার্ড: ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দল, ফিফা ফ্যান অ্যাওয়ার্ড: হুগো দানিয়েল ইনিগুয়েজ।