মারা গেলেন প্রখ্যাত বাউল শিল্পী, গীতিকার ও সুরকার বড় আবুল সরকার

প্রকাশিত: ১:১১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩

প্রখ্যাত বাউল শিল্পী আবুল সরকার রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা ২০ মিনিটে  নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা পাইলট স্কুল সংলগ্ন নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৮ বছর। রাতে ১২ ঘটিকায় ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজার নামাজ শেষে স্থানীয় একটি কবরস্থানে দাফন করা হয়।

আবুল সরকার ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার কফিলউদ্দিন ও আফিরুন বেগমের ছেলে।

জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলেন আবুল সরকারের শিষ্য শাহ আলম সরকার, লতিফ সরকার, বাউল শিল্পি পাগল মনির, ছোট আবুল সরকারসহ অসংখ্য শিল্পী ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিরা।

জানাযায় অংশ নিতে এসে শাহ আলম সরকার বলেন, ১৯৫৫ সালের ১০ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং এলাকায় আবুল সরকার জন্ম গ্রহন করেন। গানের জগতে তিনি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ফতুল্লায় বাড়ি করে বসবাস শুরু করেন। মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী সন্তানসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

আবুল সরকারের শিষ্য লতিফ সরকার বলেন, আমার ওস্তাদ কখনো কারো সঙ্গে খারাপ আচরন করেননি। তিনি ধর্মভীড়ু ছিলেন। আধ্যাত্মিক গান গাইতেন। আল্লাহর রাসুলের শান গাইতেন। কোরআন হাদিস পড়তেন। মসজিদের ইমামদের সাথে ছিলো আমার ওস্তাদ আবুল সরকারের বন্ধুত্ব।

বাউল শিল্পি পাগল মনির বলেন, এক সাথে অনেক পালা গান গেয়েছি। অনেক স্মৃতি এখন চোঁখে ভেসে উঠছে। বিশ্বাস হচ্ছে না আবুল সরকার নেই।

ছোট আবুল সরকার বলেন, আবুল সরকারের গানে ছিলো জ্ঞানের ভান্ডার। তরুন থেকে বৃদ্ধরাও ছিলো আবুল সরকারের গানের ভক্ত। তিনি গান লিখতেন সুর করতেন ও গাইতেন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো মানুষ মনযোগ দিয়ে আবুল সরকারের গান শুনেন। দেশবাসী একজন গুনী শিল্পী হারালেন।
আবুল সরকার ওস্তাদ শাহাবুদ্দিন সরকারের কাছে গানের হাতে খড়ি নেন। তিনি নজরুল সঙ্গীত দিয়ে সঙ্গীতাঙ্গনে পা রাখেন। পরবর্তীতে বাউল গানে তিনি সফলতা অর্জন করেন।
আবুল সরকারের পরিবার তার মাগফেরাতের জন্য সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করেন।