স্বর্ণের দাম নিম্নগামী প্রকাশিত: ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০২৪ চলতি মাসেই টানা ষষ্ঠ বারের মতো সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)। এর আগে ২৮শে এপ্রিল এবং তার আগে ২৭শে এপ্রিল, ২৫শে এপ্রিল, ২৪শে এপ্রিল ও ২৩শে এপ্রিল পাঁচ দফা সোনার দাম কমানো হয়। ২৮শে এপ্রিল ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম ৩১৫ টাকা কমানো হয়। ২৭শে এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫শে এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪শে এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩শে এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়। এখন আবার দাম কমানোর মাধ্যমে ছয় দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ৭ হাজার ৯৬৭ টাকা কমলো। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক হাজার ১৫৫ টাকা কমানো হয়েছে। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম হয়েছে এক লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। গতকাল থেকে নতুন দাম কার্যকর। গতকাল বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে নতুন করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন মূল্য অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৫৫ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯৬ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৯৪৫ টাকা কমিয়ে ৯১ হাজার ২০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭৯৩ টাকা কমিয়ে ৭৫ হাজার ৮৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রূপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০০০ সালে সোনার ভরি ৬ হাজার ৯০০ টাকায় দাঁড়ায়। ২০১০ সালে এই ধাতুর দাম বেড়ে ৪২ হাজার ১৬৫ টাকা হয়। ২০২০ সালে সোনার ভরি সর্বোচ্চ ৬৯ হাজার ৮৬৭ টাকায় পৌঁছায়। মূলত করোনার পর বিশ্বব্যাপী সোনার দামে অস্থিরতা দেখা দেয়। এরপর থেকে স্বর্ণের দাম বাড়তেই থাকে। SHARES অর্থনীতি বিষয়: