ফতুল্লায় ডোবায় মিশুক চালকের লাশ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার প্রকাশিত: ১০:২৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০২৪ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নিখোঁজের দুইদিন পর ডোবা থেকে কিশোরের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য উন্মোচন, আলামত উদ্ধারসহ অন্যতম প্রধান আসামি বুলবুল শেখ রাকিবকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। রোববার (১৭ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র্যাব ১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা। গত ১৪ মার্চ ফতুল্লা মডেল থানাধীন পিলকুনি বড় কবরস্থান সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠের পাশে ডোবার মধ্যে স্থানীয়রা অর্ধগলিত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পেয়ে ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে অবগত করে। পরবর্তীতে পুলিশ এলাকার লোকজনের সহায়তায় ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার করে এবং লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ভিকটিমের মা ভিকটিমের চেহারা এবং পরিহিত পোশাক দেখে শনাক্ত করেন। ভিকটিম চাঁদপুরের হাইমচরের কান্দি ইসানবালার মৃত মোক্তার হোসেনের ছেলে মো. রাজু খান (১৯) বলে জানা যায়। ভিকটিমের পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় পর ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। শনিবার (১৬ মার্চ) ফতুল্লা থানাধীন পাগলা রেলস্টেশন এলাকা থেকে মামলার অন্যতম প্রধান আসামি মোঃ বুলবুল শেখ রাকিবকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। বুলবুল বাগেরহাটের কচুয়া বারদাড়িয়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলী শেখের ছেলে। পরবর্তীতে আসামির দেওয়া তথ্যানুসারে ফতুল্লা থানাধীন পূর্ব শাহী মহল্লা এলাকায় অন্য আসামি সাইফুল সাইকেল হাউজ দোকানের মালিক মোঃ সানাউল্লাহর (৫২) দোকান থেকে ভিকটিমের চালিত মিশুক গাড়িটির বিভিন্ন খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামি বুলবুল এবং ওই মামলার অপর আসামি মোঃ পারভেজ (২৩) দুইজনই ফতুল্লা থানাধীন মাসদাইর এলাকায় অ্যাডিশন অব ফ্যাশন, চৌধুরী কমপ্লেক্স মাসদাইর গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকরি করত। গত ১২ মার্চ কোম্পানিতে চুরির দায়ে তাদের কোনো প্রকার বেতন-ভাতা না দিয়ে কোম্পানি থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তীতে তারা পরিকল্পনা করে তাদের একই এলাকার পরিচিত মিশুক চালক ভিকটিম মোঃ রাজু খানকে (১৯) ফতুল্লা থানাধীন পাগলা এলাকায় যাওয়ার উদ্দেশে ভাড়া ঠিক করে। তারা মিশুকে চড়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন পাগলা এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে সময়ক্ষেপণ করে এবং নির্জন স্থান খোঁজ করতে থাকে। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১২ টয় পিলকুনি বড় কবরস্থান সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠের পাশে নিয়ে গিয়ে অন্যতম প্রধান আসামি মোঃ বুলবুল শেখ শ্বাসরোধ করে হত্যার উদ্দেশে তার পরিহিত প্যান্টের বেল্ট খুলে অপর আসামি পারভেজসহ ভিকটিমের গলায় পেঁচিয়ে ভিকটিমকে মাটিতে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে পারভেজ ভিকটিমের গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। মৃত্যু নিশ্চিত হলে দুইজনই মিলে ভিকটিমকে পাশের ডোবাতে ফেলে দেয় এবং তারা ভিকটিমের ভাড়াকৃত মিশুক গাড়িটি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে গাড়ির রং পরিবর্তন করে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন পূর্ব শাহী মহল্লা এলাকায় একটি পুরাতন অটোরিকশা ক্রয়-বিক্রয়ের দোকান সাইফুল সাইকেল হাউজে আসামি মোঃ সানাউল্লাহের কাছে ২৮ হাজার টাকায় বিক্রি করে। বিক্রির টাকা বুলবুল এবং পারভেজ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। অনুসন্ধানে আরও জানা যায় যে, আসামি মোঃ সানাউল্লাহ চোরাই অটো ক্রয়-বিক্রি চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এবং সে চোরাই অটো ক্রয় করে রং পরিবর্তন করার পর বিভিন্ন অংশে ভেঙে বিক্রি করে থাকে। SHARES জেলা/উপজেলা বিষয়: