স্টারলিংক কি শুধু বড়লোক বা অফিস-আদালতের জিনিস!

প্রকাশিত: ৯:৫৫ অপরাহ্ণ, মে ৩০, ২০২৫

“স্টারলিংক তো শুধু বড়লোক বা অফিস-আদালতের জিনিস!” কিন্তু আসলে তা নয়। একটু চেষ্টা করলে গ্রামের সাধারণ মানুষ, দোকানদার, রিকশাওয়ালা—সবাই এই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন, যদি সবাই মিলে একটু চিন্তা করে এগিয়ে আসা যায়।

এত সস্তায় কীভাবে সম্ভব? চলুন একটু হিসাব করি,

স্টারলিংকের মাসিক বিল আসে ৪,২০০-৬,০০০ টাকা। এত টাকা একা দেওয়া কঠিন, কিন্তু ২০-২৫ জন মিলে ভাগ করলে হিসাবটা এমন দাঁড়ায়:

প্রতি মাসে ২০ জনের চাঁদা: ৪,২০০ ÷ ২০ = মাত্র ২১০ টাকা!

প্রথমবারের সেটআপ খরচ (ডিশ, রাউটার ইত্যাদি): ~৫০,০০০ টাকা (শুধুমাত্র কেনার সময়)

এভাবে একজন রিকশাওয়ালাও মাসে ২০০ টাকা দিয়ে ভালো স্পিডের ওয়াইফাই চালাতে পারেন! কাজটা কীভাবে হবে? সহজ ভাষায় বলি:

১. স্টারলিংক ডিশ এমন জায়গায় বসাতে হবে, যেখানে আকাশ পরিষ্কার দেখা যায়।

২. ডিশ থেকে একটা তার যাবে স্টারলিংকের মডেমে।

৩. সেই মডেম আবার কানেক্ট থাকবে Wi-Fi রাউটারের সাথে।

৪. রাউটার থেকে ৫০–২০০ মিটার পর্যন্ত নেট ছড়াবে।

৫. চাইলে বড় রেঞ্জের রাউটার বা Wi-Fi এক্সটেন্ডার দিয়েও পুরো পাড়া কাভার করা যাবে।

৬. স্টারলিংক অ্যাপে ঢুকে “bypass mode” অন করতে হবে — একবার করলেই হবে।

৭. চাইলে MikroTik রাউটার দিয়ে ছোটখাটো ISP-র মতো চালানোও সম্ভব । স্টারলিংক এখন কল্পনার কিছু না — গ্রামের রিকশাওয়ালাও চাইলে ব্যবহার করতে পারে।

শুধু দরকার — একটু পরিকল্পনা আর একসাথে করার ইচ্ছে।

এইটা হতে পারে ডিজিটাল বাংলাদেশের এক নতুন দিগন্ত, যেখানে সবাই থাকবেন কানেক্টেড, সবার হাতে থাকবে ইন্টারনেট। সেক্ষেত্রে স্পিড ও কমে যাবে। তবে আমাদের ক্ষেত্রে এটা বেটার অপশন।