স্থলবন্দর ব্যবহারে ভারতের নিষেধাজ্ঞা; করণীয় নির্ধারণে জরুরি সভা করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত: ৮:৩৮ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০২৫

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়ন চলছে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। এরপর নানা ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে শীতল সম্পর্ক তৈরি হয়। এরই মধ্যে গত ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ওই বৈঠকের এক সপ্তাহেরও কম সময়ে ৮ এপ্রিল ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধায় তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের সুবিধা বাতিল করে ভারত। এরপর ভারত থেকে স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বাংলাদেশ। এ নিষেধাজ্ঞার এক মাসের মাথায় পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসহ সাত ধরনের পণ্য স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত।

বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসহ সাত ধরনের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে স্থলবন্দর ব্যবহারে ভারতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

আগামীকাল মঙ্গলবার (২০ মে) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে অর্থমন্ত্রণালয়, এনবিআর, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।

বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে এনবিআরের (শুল্ক, নীরিক্ষা, আধুনিকায়ন ও আইসিটি) সদস্য কাজী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বৈঠকে এনবিআরের পক্ষ থেকে আমাদের পর্যালোচনা তুলে ধরবো। সে হিসাবে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ ভারতের সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের রপ্তানির প্রভাব কী হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন তথ্য যোগাড় করে বিশ্লেষণ করছি। বিশ্লেষণের ফলাফল বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।’

তবে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন জানিয়েছেন,’এ নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারতের ব্যবসায়ীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’