দুবাই সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

প্রকাশিত: ১১:২০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫

ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে যোগ দেওয়ার জন্য দুবাইয়ে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (৯ ফ্রেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র বলেন, আগামী ১১-১৩ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনে এ অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপ-রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক মুহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাখতুম ১৩ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি আমন্ত্রণপত্র পাঠান। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা এ সম্মেলন অংশ নেবেন বলে সম্মতি দিয়েছেন।

রফিকুল আলম জানান, ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক মুহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাখতুমের নেতৃত্বে ২০১৩ সালে গঠিত সরকারের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম। বিগত এক দশক ধরে প্ল্যাটফর্মটি ১৪০টি দেশের আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ, চিন্তাবিদরা, বৈশ্বিক সিদ্ধান্তগ্রহীতা এবং বেসরকারি নেতাদের একত্রিত করার মাধ্যমে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের রূপরেখা প্রণয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এবারের সম্মেলন সরকারের মধ্যে কার্যকরী অংশীদারত্ব ও বৈশ্বিক মতবিনিময় এবং সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে সরকার ও জনগণের মধ্যকার সেতুবন্ধন সৃষ্টিতে প্ল্যাটফর্মটির উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে।

প্রধান উপদেষ্টার ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে যোগদানের মাধ্যমে বৈশ্বিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে তার চিন্তা এবং বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও একই সময়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র/সরকার প্রধানদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটের আয়োজক কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে বিভিন্ন সেশনে বক্তব্য প্রধানের জন্য প্রধান বিচারপতি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় বিশেষ দূত এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

বন্ধুপ্রতিম দুটি দেশ বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে সুসম্পর্ক বিদ্যমান। অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং অভিন্ন রাজনৈতিক স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে এ সম্পর্ক ক্রমশ সুসংহত হয়েছে।

দেশটিতে বসবাসরত বড়সংখ্যক বাংলাদেশি প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

এছাড়াও টেক্সটাইল, কৃষি পণ্য এবং জ্বালানি ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যও ক্রমবর্ধমান। উভয় দেশ জাতিসংঘ ও ওআইসির মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে একসঙ্গে কাজ করছে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার বাংলাদেশের অবকাঠামো ও স্বাস্থ্যখাতসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে নিয়মিতভাবে বিনিয়োগ করছে।

প্রধান উপদেষ্টার সফরকালে এ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে তার সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে।