পদত্যাগ করছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো

প্রকাশিত: ১১:৪৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৬, ২০২৫

পদত্যাগ করতে চলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) এই কঠিন পদক্ষেপের ঘোষণা করেছেন তিনি। কানাডার সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল’ সূত্রে এমন জানা যাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেছেন, নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর তিনি পদত্যাগের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার সফলতার পেছনে পরিবারের ভূমিকা রয়েছে। গত রাতে নৈশভোজের সময় সন্তানদের কাছে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানান।

ট্রুডো ২০১৫ সালে লিবারেল পার্টির পক্ষ থেকে নির্বাচন করে কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে লড়াই করার মতো প্রগতিশীল এজেন্ডা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

এর আগে দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল-র প্রকাশিত প্রতিবেদনে (রবিবার) বলা হয়েছে, তিনটি সূত্র থেকে জানা গেছে, ট্রুডো এই সপ্তাহের মধ্যে তাঁর সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন। সোমবার যদি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা না দেন তাহলে বুধবার লিবারেল পার্টি থেকে পদত্যাগ করতে পারেন ট্রুডো।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থমন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাঙ্কের সাথে আলোচনা করেছেন ট্রুডো, তিনি অন্তর্বর্তী নেতা হিসেবে দায়িত্ব নিতে আগ্রহী কিনা। কানাডার একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অন্টারিও প্রদেশের ৭৫ জনের মধ্যে ৫১ জন এমপি জাস্টিন ট্রুডোর উপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন কানাডায় ক্ষমতাতে রয়েছেন ট্রুডো। ফলে তিনি পদত্যাগ করলে কানাডার রাজনৈতিক সমীকরণ কী হবে সেদিকে নজর রয়েছে সে দেশের রাজনীতিবিদদের। বিশেষজ্ঞদের মতে ট্রুডোর আমলে কানাডার সাথে অন্যান্য রাষ্ট্রের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। যার অন্যতম উদাহরণ ভারত। ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারের একটি গুরুদ্বারের সামনে খালিস্তানপন্থী জঙ্গী হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকান্ডের পরেই ভারত-কানাডার সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু। পাশাপাশি আমেরিকার ট্রাম্প সরকারের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এমন সরকার বা এমন নেতাকে ক্ষমতায় দেখতে চাইছে কানাডবাসী।