ফতুল্লায় শ্রমিক লীগ নেতা পলাশের বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি! প্রকাশিত: ৫:৪৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০২৪ নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা আলীগঞ্জে কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাউছার আহম্মেদ পলাশের বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পরিবারের সদস্যদের মারধর করে হাত-মুখ বেধে ডলার, নগদ টাকা ও ১২০ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। তবে এ সময় বাসায় ছিলেন না শ্রমিল লীগ নেতা কাউছার আহম্মেদ পলাশ।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের উপর গুলি করে হত্যা মামলার পলাতক আসামী পলাশ। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়। ডাকাতির ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে করেন স্থাীনয়রা। এর আগেও ২০০১ সালে আওয়ামী সরাকারের পতনের পর চারদলীয় ঐক্যজোট সরকার ক্ষমতায় আাসার পরপরই পলাশের বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিলো, তখনও পলাশ পলাতক ছিলো। এবারও পলাতক থাকা অবস্থায় পলাশের বাড়ীতে ডাকাতি ঘটনাটি রহস্যজনক বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক তিনটার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার আলীগঞ্জ মসজিদ গলিতে। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘ক’ সার্কেল) এস এম জহিরুল ইসলাম ও ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম। কাউছার আহম্মেদ পলাশের পরিবারের সদস্যদের দাবী, শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ফতুল্লার আলীগঞ্জ মসজিদ গলিতে কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাউছার আহম্মেদ পলাশের বাড়ীতে অস্ত্রধারী মুখোশ পরিহিত ডাকাত দলের ছয় সদস্য প্রবেশ করে। ডাকাত দলের সদস্যরা ভবনটির দ্বিতীয় তলার উত্তর দিকের গ্রিল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে কাউছার আহম্মেদ পলাশের প্রথম স্ত্রী, মা, বোন সহ পরিবারের অপর সদস্যদের মারধর সহ হাত – মুখ বেধে একটি কক্ষে আটকে রেখে। এ সময় পলাশ বাড়ীতে ছিলোনা। ডাকাত দলের সদস্যরা প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী সেখানে অবস্থান করে প্রতিটি রুমে তল্লাশি করে আলমারি, ওয়ারড্রপ ভেঙে বাসায় থাকা ১৫ শত ডলার, ১২০ ভরি ওজনের স্বর্নালংকার সহ নগদ পাচঁ লাখ টাকা নিয়ে যায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) এস এম জহিরুল ইসলাম জানান, শ্রমিক লীগ নেতা কাউছার আহম্মেদ পলাশের পরিবারের সদস্যরা তাকে জানিয়েছে,শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে মুখোশ পরিহিত অস্ত্রধারী ছয় ডাকাত বাড়ীর দ্বিতীয় তলার গ্রীল কেটে বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত- মুখ বেধে একটি রুমে আটকে রাখে। পরবর্তীতে বাড়ীর প্রথম ও দ্বিতীয় তলার প্রতিটি রুমে তল্লাশী করে ঘরে থাকা ১৫ শত ডলার, নগদ ৫ লাখ টাকা ও ১২০ ভরি ওজনের স্বর্নালংকার নিয়ে যায়। ডাকাতি শেষে চলে যাওয়ার সময় এক রাউন্ড গুলিও করে। তবে এ বিষয়ে (গুলি করা) এখনো সুনির্দিস্ট কোন প্রমাণ মিলেনি। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। SHARES জেলা/উপজেলা বিষয়: