নারায়ণগঞ্জে জেলা প্রশাসকের কাছে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের স্মারকলিপি প্রদান

প্রকাশিত: ১১:০২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের কাছে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। এসময় সাত দফা দাবি জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের পর স্মারকলিপি দেন তারা।

মানববন্ধনে তারা বলেন, ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনের হত্যার ঘটনায় বিচারের নামে আলামত ধ্বংস ও ৫৪ জন বিডিআর সদস্যকে নিরাপত্তা হেফাজতে হত্যা করে তৎকালীন সরকার।

সাত দফা দাবিতে বিডিআর সদস্যরা জানান, ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারির সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে বিদ্রোহ হিসেবে সংজ্ঞায়িত না করে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করতে হবে। বিশেষ আদালতকে নির্বাহী আদেশে বাতিল করতে হবে। চাকুরিচ্যুত সকল পদবির বিডিআর সদস্যকে সুযোগ সুবিধাসহ চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। হত্যাকাণ্ড মামলায় হাইকোর্টের বিচারকদের রায়ের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী পিলখানার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মোটিভ উদ্ধার ও কুশীলবদের শনাক্ত করতে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শাহাদাত বরণকারী ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে শহীদের মর্যাদা দিতে হবে। ২৫ ফ্রেব্রুয়ারি দিনটিকে পিলখানার ট্র্যাজেডি দিবস হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে নিরাপত্তা হেফাজতে যে সকল নিরীহ বিডিআর সদস্যদের নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে তাদের তালিকা প্রকাশ ও মৃত সবার পরিবারকে ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসন করতে হবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক জানান, ওনারা এসে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন।

এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সমন্বয়ক সাবেক বিডিআর সদস্য মো. শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে সিপাহী আল আমিন, সিপাহী সাইদুর রহমান, সিপাহী রনি আহমেদ, সিপাহী কাজী সৌরভ, সিপাহী মৃণাল, সিপাহী শহিদুল ইসলাম, সেলিমসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।