বেতন বৃদ্ধিতে গার্মেন্টস সেক্টরে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: ৯:১৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২৩

আব্দুল্লাহ আল মামুনঃ  আমরা সবাই ইতিমধ্যে অবগত আছি যে ২০২৪ সালে আমাদের Labor Cost বাড়ছে এবং যা সরাসরি Operating cost কে হিট করবে । গত করোনা মহামারীর পরবর্তীতে অর্ডার ভলিউম এবং প্রাইস মোটামুটি একটা লেভেলে গেলেও পরবর্তীতে ইউরোপ – রাশিয়া যুদ্ধের একটা বড় প্রভাব, বিশ্ব বাজারে ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে গার্মেন্টস ট্রেডে প্রাইস নিয়ে একটা ক্রাইসিস সৃষ্টি হয়। বর্তমানে ইসরাইল – ফিলিস্তিন যুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের নতুন স্যালারি গ্যাজেট বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পকে নতুন একটা চ্যালেঞ্জের দ্বার প্রান্তে দাড় করাচ্ছে । এমন অবস্থায় নতুন অর্ডার নেওয়ার ক্ষেত্রে যেমন প্রাইস কমপিটিটিভনেস থাকবে ঠিক তেমনি ফ্যাক্টরিগুলোকেও নতুন নতুন টুলস ইমপ্লিমেন্ট করে Operating Cost কমিয়ে ব্যালেন্স করতে হবে। তা না হলে ফ্যাক্টরি চালিয়ে রাখা খুব দুষ্কর হয়ে দাড়াবে ।

Cost cutting এর ক্ষেত্রে প্রথমে আসবে Direct cost এবং Indirect cost নিয়ে পর্যালোচনা । সেক্ষেত্রে দুই জায়গা থেকেই Cost cutting করতে হবে । সেক্ষেত্রে Cost থেকে Fatty অংশগুলোকে আইডেন্টিফাই করতে হবে এবং এগুলো Cut করতে হবে।

এর পাশাপাশি যে KPI মানগুলো বাড়িয়ে এবং নিয়ন্ত্রণ করে কোম্পানি Cost minimize করতে পারে তা হল –

1. Efficiency

Efficiency বাড়াতে হবে । ফ্যাক্টরির গত ১ বছরের Efficiency এনালাইসিস করে একটা স্ট্যান্ডার্ড লেভেল ঠিক করে সেখান থেকে Incremental হারে Efficiency বাড়াতে হবে ।

2. Migration Percentage

কাঙ্ক্ষিত Efficiency পেতে হলে দক্ষ জনবল নিয়োগের পাশাপাশি জনবল কে লম্বা সময় ধরে রাখার কৌশল নির্ধারণ করতে হবে । এক্ষেত্রে Migration percentage কমাতে হবে । সর্বোচ্চ ২-৩ % এর ভিতর রাখতে হবে। যখন Migration Percentage ১৫-২০ % গিয়ে দাড়ায় তখন Efficiency হিট করা খুব কঠিন হয়ে দাড়ায়। দক্ষ জনবল তৈরি করা এবং ধরে রাখাটাও এই চ্যালেঞ্জর একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ ।

3. Skilled Manpower

কোন শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই তার দক্ষতা পরীক্ষা করতে হবে এবং অদক্ষ কোন শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার যাবে না । নিয়োগকৃত শ্রমিক থেকে তার এসেসমেন্ট অনুযায়ী কাজ বুঝে নিতে হবে । পাশাপাশি শ্রমিকের দক্ষতা ডেভেলপমেন্ট করতে হবে ।

4. DHU %, RFT, Zero Defect

শতভাগ কোয়ালিটি সম্পন্ন কাজ নিশ্চিত করতে হবে । RFT Percentage নিয়ে কাজ করতে হবে এবং প্রসেসর DHU কমাতে হবে, প্রসেসে Error Percentage কমাতে হবে । যে কোন কাজের একদম Source থেকে কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে হবে৷ Rework কমাতে হবে । Zero defect নিয়ে কাজ করতে হবে ।

5. Cut to ship ratio

Cut to ship Ratio বাড়াতে হবে । যা Cutting হবে তাই শিপমেন্ট উপযুক্ত করে তৈরি করতে হবে এবং শিপমেন্ট করতে হবে । Extra percentage কমাতে হবে । এতে করে ফ্রেবিকস, এক্সেসরিজ এবং সুইয়িং টাইম কমবে যা Cost savings এর ক্ষেত্রে সরাসরি সহযোগিতা করবে।

6. NPT ( Non productive time)

NPT ( Non Productive Time) কমাতে হবে । Fabric flow, Accessories flow, Print flow , Machine breakdown time , On time decesion making , Steam problem এই সমস্যাগুলো কমাতে হবে । সাধারণত এই সমস্যাগুলোর জন্য Manufacturing unit গুলোতে প্রচুর NPT হয় । এক্ষেত্রে রিলেটেড সকল সেকশনকে সর্তক হতে হবে এবং কোথাও কোন কিছু বা ডিসিশন পেন্ডিং রাখা যাবে না ।

7. Man Machines Ratio

Man Machine Ratio কন্ট্রোল করতে হবে । সর্বোচ্চ টাইট Ratio তে ফ্যাক্টরি Run করাতে হবে । তবে Right person কে Right time এ Right place এ Right Job করাতে হবে । অদক্ষ লোক বা ইনইফিসিয়েন্ট লোক সিলেকশন করে ট্রেনিং করাতে হবে। বার বার ট্রেনিং করানোর পরও Desired result না আসলে তার বিকল্প চিন্তা করতে হবে ।

8. Lead time utilization

Lead time এর সঠিক ব্যাবহার এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করা । Lead time অনুযায়ী সকল Materials অন-টাইম flow করানো বা ইনহাউজ করানো । সাধারণত যখন কোন অর্ডার Extention লাগে তখন কোম্পানির লস হয়। কারণ এতে করে কোম্পানির Cash flow ঠিক থাকে না এবং LC period লম্বা হয় । এতে অনেক সময় ব্যাংক ইন্টারেস্ট যুক্ত হয় ।

9. Economic Fabric size

Cost savings Fabric size ( GSM, Dia and Quality) নিশ্চিত করা । ফেব্রিকস Rejection percentage কমানো, প্রসেস লস কমানো এবং অন-টাইম ফ্রেবিকস ডেলিভারি করে অন-টাইম শিপমেন্ট নিশ্চিত করা ।

10. Movement time reduce

কোন গুডস বা মানুষের বা সিদ্ধান্তের Movement টাইম কমাতে হবে । এক্ষেত্রে লিন ম্যানুফ্যাকচারিং টুলস Just in Time কে ব্যবহার করতে হবে।

11. SMV/ Product Based Marketing

ফ্যাক্টরি যে ধরনের প্রোডাক্ট করে অভ্যস্ত এবং যে ধরনের লে আউটে চলে সে ধরনের প্রোডাক্টকে প্রায়োরিটি দেওয়া । এক্ষেত্রে SMV based মার্কেটিং এর পাশাপাশি Products category wise পার্সেন্ট ভাগ করে ক্যাপাসিটি লোড ( অর্ডার নেওয়া) দরকার। এতে করে প্রোডাক্টিভিটি এবং ইফেসিয়েন্সি হিট করে এবং একই লে আউটে অভ্যস্ত হওয়ায় কোয়ালিটি মিট করে সেভিংস করা সম্ভব ।

12. Raw materials Quality /Source থেকে কোয়ালিটি নিশ্চিত করা

Source থেকে কোয়ালিটি ঠিক না থাকলে তখন এটা Final প্রোডাক্টে গিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করে । এতে করে প্যাকিং সেকশনে গিয়ে অনেক প্রোডাক্ট তার কোয়ালিটি খারাপের জন্য যোগ্যতা হায়ার। এক্ষেত্রে Raw materials / Source থেকে কোয়ালিটি নিশ্চিত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ ।

সবাইকে ধন্যবাদ পড়ার জন্য এবং আসুন আমরা একটা সম্মিলিত চেষ্টার মাধ্যমে এই জায়গাগুলোতে ডেভেলপমেন্ট করে কোম্পানির সেভিংসে সহযোগিতা করি ।

স্পেশাল করোসপন্ডেট (বি ডি গার্মেন্টস সেক্টর), চেঞ্জ নিউজ ২৪.কম
ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ আই ই,  প্লানিং এবং অপারেশন এসোসিয়েশন ( নাঃ গঞ্জ জোন।)